Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পিরোজপুর জেলা কারাগারের তথ্য বাতায়নে স্বাগতম। কারাগারে আটক বন্দির অসুস্থতার কথা বলে বিকাশ, রকেট, নগদ বা যে কোন ব্যাংকে অর্থ গ্রহণ করা হয় না। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কেউ এ ধরনের কারাগারের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাইলে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে বা অত্র দপ্তরে যোগাযোগ করার জন্য বলা যাচ্ছে।


সিটিজেনচার্টার

বিষয়ঃ  পিরোজপুর জেলা কারাগারে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ।



কারাগারে আটক বন্দি সম্বন্ধেঃ

(ক) কোন তথ্য জানতে চাইলে রিজার্ভ গার্ডে স্থাপিত তথ্য সেবা কেন্দ্রে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষির সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

(খ) সাক্ষাত প্রার্থীদের সহজ ও ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের লক্ষ্যে ক্যান্টিন/দোকান চালু করা হয়েছে। আগত সাক্ষাত প্রার্থীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করে বন্দিদের সরবরাহ করতে  পারেন। এতে একদিকে যেমন কারাগারে অবৈধ দ্রব্যাদির প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হয়,অন্যদিকে সাক্ষাত প্রার্থীরা সহজলভ্য  ও সঠিক জিনিস ক্রয় করতে পারেন। সাক্ষাত প্রার্থী কর্তৃক বন্দিদের জন্য দেয়া মালামাল যথাযথ ভাবে বন্দিদের নিকট পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়।কারাভ্যন্তরেও বন্দিরা ন্যায্য মূল্যে ক্যান্টিন হতে পিসির মাধ্যমে পন্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারে।

(গ) সাক্ষাত প্রার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বসার সুব্যবস্থা আছে।

(ঘ) দর্শনার্থী ও  সেবা প্রত্যাশী নাগরিকদের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষি অথবা সরাসরি জেল সুপার/জেলার এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

ফোন- জেল সুপারঃ ০১৭৬৯৯৭০৮৪০, জেলারঃ ০১৭৬৯৯৭০৮৪১।

বন্দিদের সাথে দেখা সাক্ষাত সংক্রান্তঃ


(ক) কারা অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক গত ০3/০7/২০২3খ্রিঃ হতে বন্দিদের নিকটতম আত্মীয় স্বজন ( পিতা-

মাতা,স্বামী-স্ত্রী,সন্তান,ভাই-বোন ) এর সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে  ১৫ দিনে ০১ বার  দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়।

(খ) সপ্তাহে ১ দিন বন্দিরা নিকটতম আত্মীয় স্বজন ( পিতা-মাতা,স্বামী-স্ত্রী,সন্তান,ভাই-বোন ) এর সাথে মোবাইল ফোনে প্রতি মিনিট ০১ (এক) টাকা করে ১০ মিনিট কথা বলতে পারেন।

(খ) ডিটেন্যু ও নিরাপদ হেফাজতী বন্দিদের  সাথে দেখা করতে হলে সংশ্লিষ্ট  জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অথবা আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।

 (ঘ) বন্দির সাথে দেখা করতে কোন প্রকার টাকা-পয়সা লেনদেন নিষিদ্ধ।

(ঙ) মোবাইল ও অন্য কোন নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়ে সাক্ষাত কক্ষে প্রবেশ করানো যাবে না।

                                                                                                   চলমান পাতা-২

 

 

 

 

 

পাতা-২

(চ) বন্দিদের সাথে সাক্ষাত প্রার্থীদের দেখা সাক্ষাত প্রক্রিয়া দূর্ণীতিমুক্ত করা হয়েছে।

(ছ) বন্দিদের সাথে তার আইনজীবির দেখা সাক্ষাতের সুযোগ প্রদান করা হয়।

আদালত হতে আগত বন্দিদের জন্যঃ

(ক) প্রতিদিন আদালত হতে আগত  বন্দিদের শ্রেনী বিন্যাস করতঃ অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ি পৃথক পৃথক ওয়ার্ডে রাখা হয়।

(খ) অসুস্থ বন্দিদের তাৎক্ষনিক সহকারি সার্জন ও ডিপ্লোমা নার্স এর মাধ্যমে জরুরী চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রয়োজনে  উন্নত চিকিৎসার জন্য  স্থানীয় সদর হাসপাতাল সহ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশালে প্রেরণ করা হয়।

(গ) বিচারাধীন বন্দিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে নির্ধারিত তারিখে হাজিরা নিশ্চিত করা হয়।

(ঘ) কোন বন্দির হাজিরার তারিখ নির্দিষ্ট না থাকলে আদালতের সাথে যোগাযোগ করতঃ হাজিরার তারিখ নিশ্চিত করা হয়।

(ঙ) নবাগত বন্দিদের সাথে রক্ষিত টাকা পয়সা ও অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্যাদি যথাযথ হেফাজতে রাখা হয়।

(চ) দুঃস্থ, অসহায়, অসচ্ছল বন্দিদের ন্যায়বিচারের লক্ষে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয় এবং পোশাক পরিচ্ছদ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

(ছ) কারাগারকে সংশোধনগারে রুপান্তরের লক্ষ্যে বন্দিদেরকে অপরাধ জগৎ হতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিনিয়ত মোটিভেশন ও কাউন্সিলিং করা হয়ে থাকে।

(জ) মাদকাসক্ত বন্দিদের বিশেষ চিকিৎসাসহ মাদকের জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য ০২(দুই)টি মাদক নিরাময় ওয়ার্ড চালু রয়েছে।

(ঞ) জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় আগত বন্দিদের আলাদা করে রেখে তাদেরকে প্রতিনিয়ত মোটিভেশন করা হয়ে থাকে।


জামিনে মুক্তি প্রসংগেঃ 

(ক) আদালত  হতে প্রাপ্ত মুক্তি/জামিন আদেশের মুক্তিযোগ্য বন্দিদের তালিকা প্রধান ফটকের সামনে নোটিশ বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয় ।

(খ)  মুক্তিযোগ্য বন্দিদের নাম এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে লাউড স্পিকারে ঘোষনা করা হয় ও নাম প্রদর্শন করা হয়। এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারে।

(গ) যে কোন বন্দির মুক্তি/জামিন আদেশ ভূল পরিলক্ষিত হলে তাদের নামের তালিকা বাহিরে টাঙ্গিয়ে দেয়া হয় এবং বিষয়টি এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে লাউড স্পিকারে জানিয়ে দেয় হয়। যাতে করে বন্দির আত্মীয়-স্বজন অহেতুক দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা না করে চলে যেতে পারে।


ওকালতনামা স্বাক্ষর প্রসংগেঃ

(ক) ওকালতনামা স্বাক্ষরের ব্যাপারে অবৈধ অর্থের লেনদেন রোধের জন্য প্রদান ফটকের সামনে ওকালতনামা দাখিলের জন্য বাক্স রাখা হয়েছে।

(খ) নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর বাক্স খুলে ওকালতনামা স্বাক্ষরান্তে বন্দির আইনজীবি/আত্মীয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

(গ) ওকালতনামা বন্দির স্বাক্ষরের জন্য কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। যদি কেউ এব্যাপারে কোন অর্থ দাবী করে তাহলে তাৎক্ষনিক ভাবে রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষি অথবা সরাসরি জেল সুপার/জেলার এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

চলমান পাতা-৩

পাতা-৩

 

পিসিতে টাকা জমাদানের পদ্ধতিঃ

(ক) কারাগারে আটক বন্দিদের ব্যক্তিগত তহবিলে (পিসি) অর্থ জমা রাখার প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

(খ)  কেউ কারাগারে আটক বন্দির পিসিতে টাকা জমা করতে চাইলে ডাক যোগে মার্নি অর্ডার করতে পারেন।

(গ) ব্যক্তিগত ভাবে বন্দির আত্মীয়-স্বজন পিসিতে টাকা জমা দিতে পারেন।

(ঘ) রিজার্ভ গার্ডের কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষির সহযোগীতায় এই অর্থ জমা দেয়া যাবে এবং সরাসরি প্রধান ফটকে জমা দেয়া হয়। টাকা জমা দানের ব্যাপারে কোন প্রকার বাড়তি ফি প্রদান করতে হয় না।

(ঙ) মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এর মাধ্যমে পিসিতে টাকা জমা দিতে পারেন।

বন্দিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করণঃ

(ক) কারা অভ্যন্তরে বন্দির হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তর ও বন্দির কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বন্দির আগ্রহ ও দক্ষতা অনুযায়ী কারা অভ্যন্তরে বন্দিদের বিভিন্ন ট্রেডে  বৃত্তি মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যেমন-টেইলারিং, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, প্লাম্বিং, কৃষি, নরসুন্দর, নকশি কাঁথা, রান্না, লন্ড্রী, সংগীত,গৃহাঙ্গনে মৎস চাষ,মাশরুম চাষ,ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও রাজমিস্ত্রী।

 

বন্দিদের জন্য প্রেষণামূলক, গঠনমূলক ও কল্যাণ ধর্মী কার্যক্রম গ্রহণঃ

(ক) বন্দিদের অপরাধ প্রবণতা হতাশা ইত্যাদি দুর করার জন্য অভিজ্ঞ নৈতিকতা বোধ সম্পর্ন ব্যক্তি দিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ও  পরামর্শ প্রদান, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ বন্দিদের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রেষণামূলক, গঠনমূলক ও কল্যাণধর্মী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।

বন্দিদের খাবারের ব্যবস্থা করণঃ

(ক) আদালতগামী বন্দিদের ডিম,পাউরুটি ও কলা সরবরাহ করা হয়। আদালত হতে আগত বন্দীদের শ্রেণী বিন্যাস করতঃ বন্দীদের ধরণ অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে বন্দির খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

(খ) কারা বাগান থেকে উৎপাদিত টাটকা সবজি বন্দিদের প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়।

বিনোদনঃ

(ক) কারাভ্যন্তরে বিপুল সংখ্যক বই সম্বলিত সুসজ্জিত বঙ্গবন্ধু বুক কর্ণার রয়েছে। যেখান থেকে বন্দিরা বই নিয়ে ওযার্ডে বসে পড়তে পারে।

(খ) কারাভ্যন্তরে খেলাধুলার জন্য লুডু,দাবা,ক্যারামসহ বিভিন্ন মৌসুমি খেলা ধূলার ( ব্যাড মিন্টন, ভলি বল) ব্যবস্থা রয়েছে।

(গ) নব নির্মিত কারাগারে সুপ্রশস্ত থাকার জায়গাসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান ও বিনোদণের জন্য এলইডি টেলিভিশন রয়েছে।

(ঘ) বন্দিদেরকে নির্ধারিত পত্রিকা সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

(ঙ) মহিলা ওয়ার্ডে মায়ের সাথে আটক শিশুদের আত্ম বিকাশের জন্য পড়ার বই,খেলনা সামগ্রী, দোলনা ইত্যাদি ব্যবস্থা রয়েছে।


                                                                    

কারা উপ মহাপরিদর্শক

বরিশাল বিভাগ

সদর দপ্তর,বরিশাল।


 (দেবদুলাল কর্মকার)

জেল সুপার

জেলা কারাগার পিরোজপুর।

ফোন-0২৪৭-৯৯৩৮০২৫